
প্রকাশিত: Tue, Jan 17, 2023 1:33 PM আপডেট: Sun, Jun 8, 2025 3:38 AM
‘অভ্র’, ‘রিদমিক’ এবং বিজয় কি-বোর্ড
আতিকুজ্জামান ফিলিপ : খবরে দেখলাম, সব এ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে বিজয় কিবোর্ড ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত এন্ড্রয়েড মোবাইলে বাংলা লেখার জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য, সবচেয়ে ইউজার ফ্রেণ্ডলো এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত বাংলা কিবোর্ড হলো অভ্র আর রিদমিক। যখন মোবাইলে বাংলা লেখার জন্য কোন কিবোর্ড (.ধঢ়শ) ছিলো না সেই কঠিন সময়েই বাংলা লেখার জন্য ডা. মেহেদি হাসান এবং প্রকৌশলী শামীম হাসনাত যথাক্রমে অভ্র আর রিদমিক কিবোর্ড নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছিলেন।
বস্তুত এই দু’টি কিবোর্ডের মাধ্যমেই সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষিদের মোবাইলে বাংলা ভাষার বিস্তৃতি লাভ করেছিলো, যা আজও চলমান আছে। তখন মোবাইলে বাংলা লেখার জন্য বিজয় কিবোর্ডের কোন অস্তিত্বই ছিলো না (যদিও ততদিনে কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য বিজয় কিবোর্ডই ছিলো একমাত্র জনপ্রিয় কিবোর্ড)। অভ্র এবং রিদমিক কিবোর্ডের অভাবনীয় সাফল্যে ঈর্ষাণ্বিত হয়ে বিজয় কিবোর্ডের আবিষ্কারক দাবিদার এর আগেও বেশ কয়েকবার অভ্র এবং রিদমিক কিবোর্ডের পেছনে লেগেছিলো, এমনকি গুগল প্লে- স্টোর থেকে এই জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত বাংলা কিবোর্ড দুটি সরানোর ব্যবস্থাও করেছিলো। কিন্তু তাতেও তিনি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেননি। কারণ এখনও, এই আজ পর্যন্তও বাংলা ভাষাভাষিদের প্রায় ৯৫ ভাগই তাদের মোবাইলে অভ্র কিংবা রিদমিক কিবোর্ডই ব্যবহার করে আসছেন।
আমার মোবাইলে বাংলা লিখতে যে কিবোর্ডে আমি বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করবো সেটিই তো আমি ব্যবহার করবো, এটাই তো সহজাত ও স্বাভাবিক। তাছাড়া এই কিবোর্ড দুটি আবিষ্কারও করেছেন আমাদের দেশেরই দু’জন কৃতি সন্তান এবং তারা কোনো রকম স্বত্ব না রেখে সকল বাঙালির জন্যই উদারভাবে তা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি তাদের উদ্ভাবিত জনপ্রিয় ও সহজলভ্য কিবোর্ড দু’টো বাদ দিয়ে আপনারটা কেন ব্যবহার করবো? আপনি মন্ত্রী হয়েছেন বলেই কি আপনার কিবোর্ড ব্যবহার করতে আমাদের বাধ্য করাবেন? ধরুন, হিরো আলম যদি কোনোদিন মন্ত্রী হয় এবং তখন যদি তিনি নির্দেশনা দেন যে তার সুরেই রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে হবে, তখন কী হবে, বলুন তো? ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
